উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আলোচিত বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কসের মালিক খায়রুল বাশার বাহারের নামে থাকা প্রায় ৪২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার সম্পদ ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।
তিনি জানান, খায়রুল বাশার শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে পড়াশোনার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করেন। প্রাথমিক তদন্তে প্রতারণার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় ২০২৫ সালের ৪ মে গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। এরপর ১৪ জুলাই ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
সিআইডির অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, প্রতারণার টাকায় তিনি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১২২ দশমিক ৪৫ শতাংশ জমি কিনেছেন। এসব জমির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৪২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এই তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি আদালতে সম্পদ ক্রোকের আবেদন করলে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত তা অনুমোদন দেন।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন বলেন, “নিজেকে শিক্ষাবিদ ও সফল উদ্যোক্তা পরিচয় দিলেও বাস্তবে তিনি ছিলেন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।”
সিআইডির কর্মকর্তারা আরও জানান, খায়রুলের নামে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও জমি, বিলাসবহুল গাড়ি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও অন্যান্য সম্পদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে এসব সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধান এবং মামলার তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।
