ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার বিচার চলতে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ‘সহ্য করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার (২৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
শনিবার (২৮ জুন) ট্রুথ সোশালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকা প্রতিবছর ইসরাইলকে রক্ষা ও সমর্থন দিতে অন্যান্য যেকোনো দেশের চেয়ে অনেক বেশি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে। আমরা এটা সহ্য করব না।’
২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, জালিয়াতি ও আস্থাভঙ্গের অভিযোগে ইসরাইলে অভিযোগ গঠন করা হয়, যা তিনি অস্বীকার করে আসছেন। ২০২০ সালে তার বিচার শুরু হয় এবং এতে তিনটি ফৌজদারি মামলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) নেতানিয়াহুর আইনজীবীরা ১২ দিনব্যাপী ইরান-ইসরাইল সংঘাতের পর কূটনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি করার আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেয়। সোমবার (৩০ জুন) তাকে জেরা পর্যায়ে সাক্ষ্য দিতে হবে।
ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, ‘নিয়ন্ত্রণহীন প্রসিকিউটররা নেতানিয়াহুর সঙ্গে যা করছে তা পাগলামি।’ তিনি দাবি করেন, এ বিচারিক প্রক্রিয়া নেতানিয়াহুর পক্ষে হামাস এবং ইরানের সঙ্গে আলোচনার কাজে বাধা সৃষ্টি করবে।
ইসরাইলি প্রসিকিউশনের একজন মুখপাত্র ট্রাম্পের মন্তব্যে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘এ মুহূর্তে নেতানিয়াহু হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করছেন।’ তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। শুক্রবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যুদ্ধবিরতি শিগগিরই হতে পারে।
হামাস বলেছে, যুদ্ধ বন্ধের চুক্তির অধীনে গাজায় বাকি থাকা বন্দিদের মুক্তি দিতে তারা প্রস্তুত। অন্যদিকে ইসরাইল বলছে, হামাস নিরস্ত্র ও ভেঙে না দেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব নয়। হামাস তাদের অস্ত্র ত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের ইরানের পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলার পর গাজা সংকট সমাধানের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।