দেশের বৃহত্তম বিশেষায়িত ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি বঞ্চিত ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে পদোন্নতি পাওয়ার আশায় দাবি উত্থাপন করে আসছেন। কিন্ত দাবির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করায় মানববন্ধন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় দাবি আদায়ের কর্মসূচির কারণে ব্যাংকের গ্রাহকরা যেন তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে বিবেচনায় নিয়ে তারা গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ছুটির দিনে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অবস্থান নেন।
যৌক্তিক দাবিতে সম্মতি জ্ঞাপন করে ব্যাংকটির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান অন্যান্য পদের ন্যায় ৩ বছরে পদোন্নতি প্রদান, অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ন্যায় ৪র্থ গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নতির ক্ষেত্রে ভাইবা গ্রহণ পদ্ধতি বাতিল করে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনের (এসিআর) ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে পদোন্নতি প্রদানসহ বেশ কিছু আশ্বাস দেন।
এমন আশ্বাস পেয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তাগণ মানববন্ধন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। কিন্তু দীর্ঘ তিন মাস পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতির কোনো প্রতিফলন না হওয়ায় তাঁরা পুনরায় গতবছর শনিবার (৩০ নভেম্বর) পুনরায় মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেন।
এই ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রায় সকল শাখা থেকে আগত ১২০০ কর্মকর্তা প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে গত বছরের ১ ডিসেম্বর বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলীর আশ্বাসে পদোন্নতি সংক্রান্ত আশ্বাস নিয়ে তারা পুনরায় কর্মস্থলে ফিরে যান।
পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক এবং উপ মহাব্যবস্থাপক মহোদয়দের সঙ্গে পদোন্নতির ব্যাপারে একাধিকবার আলোচনা হয়, কিন্তু তারা বারবার আশ্বাস দিয়ে সুকৌশলে ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখেন। তাই তারা বাধ্য হয়ে মে মাসের যেকোনো কর্মদিবসে পুনরায় কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে যাচ্ছেন। তারা প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী, কর্মবিরতি, শাটডাউন কর্মসূচি ও প্রধান কার্যালয় ব্লকেডসহ আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।পদোন্নতির ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সকল কর্মসূচি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন শহীদ জিয়ার আদর্শে বলীয়ান সাবেক ছাত্রদলের নেতৃস্থানীয় অফিসারবৃন্দ।