ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আরও ১২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) ইসি সচিবলায়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) ও বিকল্প তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. আশাদুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি। এরপর দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি।
এর আগে রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি।
ইসির জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়েছে, রোববার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), তৃণমূল বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপে বসবে কমিশন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সংলাপের প্রথম দিনে ১২টি দলের সঙ্গে দুই পর্বে মতবিনিময় করেছে ইসি।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের আলোচ্যসূচিতে থাকছে— নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পূর্বে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলসমূহের করণীয়, তফশিল ঘোষণার পর আচরণ বিধি প্রতিপালন, আচরণবিধি অনুসারে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামা সম্পাদন, প্রার্থীদের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারদের অঙ্গীকারনামা সম্পাদন, তফশিল ঘোষণার পর নির্বাচনী এজেন্ট নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা, মিসইনফর্মেশন ও ডিসইনফর্মেশন প্রতিরোধ, নির্বাচনে এআইর অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গ না করা, লিঙ্গ, বর্ণ ও ধর্ম নিয়ে কোন বৈষম্য না করা এবং ধর্মীয় উপসনালয়কে রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য ব্যবহার না করা।

