‘স্থানীয় নির্বাচন আগে হবে, নাকি জাতীয় নির্বাচন আগে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে কেবল নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে’।
বুধবার (২১ মে) দুপুরে যখন নির্বাচন ভবনের বাইরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা স্থানীয় নির্বাচন আগের করার দাবি ও ইসির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন। তখন পঞ্চম কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
এনসিপি’র আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা কোনো মতামত দিতে চাই না।
স্থানীয় নির্বাচন তারা আগে চাচ্ছে, এমন বিষয় সামনে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের সেক্যুয়েন্স কোনটা আগে হবে, কোনটা পরে হবে এটার পরিবর্তিত পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কোন নির্বাচন আগে হবে বা পরে হবে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে।
কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এনসিপি’র তোলা প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক বক্তব্যের ওপর মন্তব্য করতে চাই না। আমরা কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে এবং করে যাবে।
ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের দেওয়া রায়ে বিরুদ্ধে আপিল না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ওই কমিশনার বলেন, আমরা কোন আইনের বলে কাজ করেছি, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের অনুচ্ছেদ ৫০, স্থানীয় নির্বাচন (সিটি করপোরেশন) আইনের ৫৪ ধারা, পৌরসভা নির্বাচনের বিধি ৫৪, উপজেলা নির্বাচন বিধিমালার ৫৬, ইউপি নির্বাচনের বিধি ৫৪। এই সবগুলোতে বলা আছে, নির্বাচন দরখাস্তে কাদের পক্ষভুক্ত করা যাবে। সেখানে নির্বাচন কমিশনকে পক্ষভুক্ত করার কোন আইন নেই। কিন্তু আমাদের দেশে যেটা হয়ে থাকে, যদি কেউ দরখাস্ত করে থাকেন, নির্বাচন কমিশনকেও একটি পক্ষ বানান। কিন্তু আইনে যেহেতু নেই, আমরা স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত, আমরা ফাইল ঘেঁটে দেখার চেষ্টা করেছি যে, কখনো নির্বাচন কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে পক্ষভুক্ত হয়েছে কি না, বা আপিল করেছে কি না। আমরা এমন কোনো নজির পায়নি। সুতরাং আমাদের পক্ষভুক্ত হওয়ার বা আপিল করার সুযোগ আইন আমাদের দেয়নি।