রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মো. টিটন গাজী নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত র্যাব ও ডিএমপি মিলে মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার (১২ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোহাগ হত্যার ঘটনায় মো. টিটন গাজী নামে আরও একজন এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এর আগে, শুক্রবার (১১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোহাগ হত্যার ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় এবং এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করে।
রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পক্ষ থেকে এক ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদা না দেওয়ায় ভাঙারি ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়া ওরফে সোহগকে পাথরের আঘাতে হত্যা মামলার ২ আসামি (লম্বা মনির ও আলমগীর) ঢাকার কেরাণীগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার র্যাব-১০।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহের ওপর চলে বর্বরতা।
সেই ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

