বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘অ্যালামনাই রিইউনিয়ন ২০২৫’-এ উদযাপিত হয়েছে বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অসাধারণ বৈশ্বিক অর্জন। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দুই শতাধিক প্রাক্তন বুয়েট শিক্ষার্থী সরাসরি ও ভার্চুয়ালি যোগ দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের ৮০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।
একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতা, নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞান বিনিময়ের একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে এই পুনর্মিলনী, যা প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মহাদেশ অতিক্রম করে বাংলাদেশের শিল্প খাতের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
অ্যালামনাই রিইউনিয়ন ২০২৫ এর আহ্বায়ক এম এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই রিইউনিয়ন শুধু আমাদের সম্মিলিত ঐতিহ্যের উদযাপন নয়, বরং বাংলাদেশের শিল্প উন্নয়ন ও বৈশ্বিক উদ্ভাবনে বুয়েট আইপিই অ্যালামনাইদের নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল স্বীকৃতি’।
একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রিতে বুয়েটের বৈশ্বিক পদচিহ্ন:
বুয়েট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বর্তমানে বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণা করছেন অনেকেই। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডা, নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব স্ট্র্যাথক্লাইড এবং ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি।
প্রাক্তন বুয়েট শীক্ষার্থী (অ্যালামনাই) যেমন ড. মো. নূর ই আলম (নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি) এবং ড. সুমন চৌধুরী (ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডা) NSF Career Award-এর মতো মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন, যা বৈশ্বিক গবেষণা ও উদ্ভাবনে বুয়েটের প্রভাবকে তুলে ধরে।
অনেক বুয়েট পাশ বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান যেমন এমাজন, মেটা, ইন্টেল, টেসলা, বোয়িং, ওয়ালমার্ট, এবং জেনারেল মোটর্স-এ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অ্যালামনাই নেতারা যেমন মো. সাইফুল ইসলাম (Intel), রাফিয়া রহমান (Tesla), এবং তানজিনা জামান (Boeing) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), অপারেশনস রিসার্চ, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট এবং অ্যাডভান্সড ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে বিভাগের শক্তিশালী পদচিহ্নকে প্রতিফলিত করেন।
বাংলাদেশের শিল্পোন্নয়নে বুয়েট তৈরি পোশাক (আরএমজি), এফএমসিজি, ম্যানুফ্যাকচারিং, টেকনোলজি ও লজিস্টিকস খাতের ৮০টিরও বেশি শীর্ষ কোম্পানি এই আয়োজনে যুক্ত হয়, যা প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের শিল্পোন্নয়নে বুয়েট আইপিই অ্যালামনাইরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।