বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানোসহ ফসলের লাভজনক দাম কৃষককেই সংগ্রাম করেই আদায় করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি খাতে কৃষিতে বাস্তব বিনিয়োগ নিশ্চিত করা ছাড়া এ সংকট থেকে উত্তরণের কোনো পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রবীণ কৃষক নেতা দেওয়ান আব্দুর রশীদ নিলু।
রবিবার (২২ জুন) সকালে প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে “কৃষিখাতের সরকারি বাজেট বরাদ্দ ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি” শীর্ষক অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক। তিনি বলেন, ‘কৃষক-মজুর সংহতির ধারণাপত্রে উত্থাপিত সবগুলো সুপারিশই সময়োপযোগী ও বাস্তবভিত্তিক। গতানুগতিক বাজেট কাঠামোর মধ্যে থেকে কৃষিখাতে কোনো গঠনমূলক পরিবর্তন সম্ভব নয়। সরকারি ব্যবস্থার অদক্ষতা ও গভীর দুর্নীতির কারণে কৃষিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যকর হয় না।’
গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী জননেতা আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘কৃষিখাতে উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হলে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগ অপরিহার্য। তবে সেই বিনিয়োগ এমন হতে হবে, যা একদিকে কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করে, অন্যদিকে মাটি, পানি, প্রাণ ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে।’
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘বাজেটের কাঠামো গতানুগতিক ও নিস্পৃহ- এ বাস্তবতায় কৃষকের পক্ষের কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আশা করা যায় না। রাষ্ট্রের কাঠামো যখন কৃষকের কথা শোনে না, তখন লড়াই করেই নিজেদের হিস্যা আদায় করতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও কৃষিবান্ধব অর্থনীতির জন্য একটি সাহসী ও টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করবে। কৃষক যেন প্রকৃত উপকারভোগী হয়, বিএনপি সেই লক্ষ্যেই কাজ করবে।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিমের পরিচালনায় সেমিনারের শুরুতেই কৃষিখাতে বিনিয়োগে বাড়ানোর বিষয়ে সংগঠনের বক্তব্য নিয়ে একটি ধারণাপত্র উত্থাপন করেন যুগ্ম সম্পাদক কৃষক নেতা তৌহিদুর রহমান।
সেমিনারে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কৃষক জোটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই ইলাহি, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভুঁইয়া, বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম, কৃষক-মজুর সংহতির অর্থ সম্পাদক লিটন, কৃষক ঐক্য পরিষদের সুলতান আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক তুহিন ফারাজি।
এ ছাড়া সেমিনারে বিভিন্ন কৃষক, শ্রমিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।