অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান (সিজেসিএসসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর প্রধান।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্রমবর্ধমান গুরুত্বসহ বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা একাধিক খাতে সহযোগিতা জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।
জেনারেল মির্জা বলেন, “আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সমর্থন করবে। করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দ্বিমুখী শিপিং রুট ইতোমধ্যে চালু হয়ে গেছে এবং ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট কয়েক মাসের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
এ সময় উভয় পক্ষই মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় করেন তারা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ভুয়া খবর ও ভুল তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদ মোকাবিলায় একটি সমন্বিত বিশ্বব্যাপী প্রয়াস নেওয়া উচিত।”
এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

