জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন সংক্রান্ত দাবি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম করপোরেশন (বিপিসি)। ফলে ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ।
রোববার (২৫ মে) দুপুর সোয়া ১টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
এর আগে, সকাল ৬টা থেকে ১০ দফা দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। সেইসঙ্গে সংকট সমাধানে বিপিসির সঙ্গে বৈঠকে বসে তারা। বৈঠকে ১৫ দিনের মধ্যে সব দাবি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। তা ছাড়া অন্যান্য দাবিগুলো দুই মাসের মধ্যে সুরাহা না হলে পুনরায় কর্মবিরতি যাবে বলেও জানায় পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতারা।
গত ১১ মে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদ বলেছিল, ২৪ মের মধ্যে দাবি আদায় না হলে তারা ২৫ মে প্রতীকী কর্মসূচি পালন করবে। কিন্তু, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় আজ সকাল ৬টা থেকে সারা দেশের পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি অর্ধদিবস বন্ধ রাখে তারা। দুপুর ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলার কথা ছিল।
পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ইজারা ভূমির ইজারা মাশুল আগের মতো বহাল রাখা। পাম্প-সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নে আবেদনপত্রের সঙ্গে নির্ধারিত পে-অর্ডার জমা দিলেই তা নবায়ন বিবেচিত করা। বিএসটিআই শুধু ডিসপেন্সিং ইউনিট স্ট্যাম্পিং ও পরিমাপ যাচাই করবে। আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফি ও নিবন্ধনপ্রথা বাতিল করা। পরিবেশ, কলকারখানা ও ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্সের বিধান বাতিল করা। ঘরের মধ্যে বা খোলা স্থানে অবৈধভাবে মেশিন বসিয়ে জ্বালানি বিক্রি বন্ধ করা এবং ডিলারশিপ ছাড়া বিপণন কোম্পানির সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ করা। ট্যাংকলরির চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স ইস্যু সহজ করা। রাস্তায় যেখানে-সেখানে ট্যাংকলরি থামিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা না করে তা তেলের ডিপো গেটেই সম্পন্ন করা। সব ট্যাংকলরি জন্য আন্তজেলা রুট পারমিট ইস্যু করা।