বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, দ্রুত নির্বাচন ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা, শান্তি ও গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। নির্বাচনকে যারা সংস্কার ও ফ্যাসিস্টদের বিচারের শর্তের আবর্তে ঘুরপাক করাচ্ছেন তারা রাজনীতিতে অপরিপক্ক ও অনভিজ্ঞ। সংস্কার ও ফ্যাসিস্টদের বিচার চলমান প্রক্রিয়া, সংস্কার ও ফ্যাসিস্টদের বিচার শুরু করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে।
সোমবার (২ জুন) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। যারা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় তারা গণতন্ত্র, সংস্কার ও ফ্যাসিস্টদের বিচার এবং গণঅভুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ছাব্বিশের জুনের মধ্যে যারা নির্বাচন চাচ্ছে, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, দুই-একজন উপদেষ্টা ও সরকারের ঘনিষ্ট একটি মহলের কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য সরকারের নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। একই সঙ্গে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এর মধ্যে জাপানে যাওয়ার আগে ও পরে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড রহস্যজনক।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অভিজ্ঞতার আলোকে বিএনপিসহ অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আবশ্যক বলে মনে করে। ডিসেম্বর পার হয়ে গেলে ভিন্ন মতলবকারীরা নির্বাচনকে অনিশ্চিৎ করে নতুন চক্রান্তে মেতে উঠবে। দেশ আবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
আলোচনাসভায় বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পল্লী চিকিৎসক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অনবদ্য সৃষ্টি। পল্লী এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষ অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য পল্লী চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হন। তাই পল্লী চিকিৎসকদের অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করে সর্বজনীন চিকিৎসা বা সবার জন্য চিকিৎসা সম্ভব নয়।
তারেক রহমানের রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেক রহমানের সবার জন্য চিকিৎসা ও সর্বজনীন চিকিৎসা নীতি এবং সকল নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা বাস্তবায়নে পল্লী চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিহার্য।
পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এস এম মারুফ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী, চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি মামুনুল ইসলাম চৌধুরী, সুরুজ আলী, অনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ রাসেল, আমির খান, রমিজ উদ্দিন, লোকমান হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।