বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, নাবী কমিশন একটা ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রে সরকার পা দিয়েছে। সামাজিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক বন্ধন ভাঙ্গার মিশন হিসাবে কাজ করছে এই কমিশন। বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র নারী কমিশনের এই প্রতিবেদন।
তিনি বলেন, কমিশনের এই প্রতিবেদন অত্যান্ত নিম্নমানের ও কুরুচিপূর্ন। এটির কোন নৈতিক ভিত্তি নেই । দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই কমিশন বাতিল করতে হবে। এই কমিশনের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরকার আর জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর হয়েছে। প্রতিকেদনটি এসজিওদের বিকৃত চিন্তার প্রতিফলন। নারীদের বাজারের পন্য বানানোর জন্য প্রমোটেট করা হচ্ছে। তাদের কর্মসংস্থানের কথা বলে পতিতাবৃত্তির দিকে সু-কৌমলে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। নারীদের জন্য শুধু কর্মসংস্থান নয় নিরাপদ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
বুধবার (৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ওয়ান ইনিশিয়েটিভ রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট আয়োজিত নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক ও পর্যালোচনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি ওয়ান ইনিশিয়েটিভ এর পরিচালক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং চেয়ারম্যান, ওয়ান ইনিশিয়েটিভ রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব।
ঢাকা মহনগর জামায়াত ইসলামের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, নারী কমিশন মুকৌশলে নাগরিকদের মধ্যে বৈষ্যম্য সৃষ্টি করেছে। ২৪ শে জুলাই বিল্পব যে লক্ষ্য নিয়ে গোটা দেশে ঐক্যবন্ধ হয়েছিল কেমিশনের এই প্রতিবেদন ব্যাহত করেছে। এই কমিশন বাথিল করে ইসলামী স্কলার ও অন্যন্য ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে।
আলোচনায় আইপাস বাংলাদেশ,হেলথ সিস্টেমের সাবেক সিনিয়র এডভাইজর ডা. শামিলা নাহার বলেন, নারী অধিকারের জন্য যে বিষয়গুলো আসা দরকার সেই বিষয়গুলো নারী বিষয়ক কমিশনের প্রতিবেদনে আসেনি। সেগুলো সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরার জন্য কমিশনের প্রত আহবান করেন।
অ্যাডভোকেট সাবিকুল নাহার মুন্নি বলেন, নারী কমিশন বার বার সমতার কথা বললেও তাদের প্রতিবেদনে সমতার নেশ মাত্র নেই। এই প্রতিবেদনে ধর্মকে ছোট করার চেস্টা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেদনটি স্ব বিরোধ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী নারীদের বীরত্ব গাঁথা কথা পাঠ্যবইয়ে সংযুক্ত করার কথা বলা হলেও ২৪শের জুলাই বিপ্লবী নারীদের বীরত্ব গাঁথা স্মৃতি পাঠ্যবইয়ে সংযুক্ত করার বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন, সিটি ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ড. জুলফিকার হাসান ,অ্যাডভোকেট ইকতেদার আহমেদ, নারী প্রয়াসের সেক্রেটারি, ড. ফেরদৌস আরা খানম, হেলথ সিস্টেম, আইপাস বাংলাদেশের সাবেক সিনিয়র এডভাইজর ডা. শামিলা নাহার প্রমুখ।