বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগে উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে সম্প্রতি ব্যাংকে একটি কর্মীবান্ধব ও দক্ষতা-ভিত্তিক সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সংকটময় সময়ে, বিশেষ করে গত ৫ আগস্টের পর যখন শীর্ষ পদে প্রশাসনিক শূন্যতা বিরাজ করছিল, তখন তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন।
ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, দীর্ঘ ১৭ বছর জাতীয়তাবাদী চিন্তা ও আদর্শে প্রেরণা পাওয়া একদল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সক্রিয় সহায়তায় জাহিদ হোসেন ‘জাতীয়তাবাদ ফোরাম’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন। তিনি এই ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখযোগ্য কিছু উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে—সুপারভাইজার ও অফিসার পর্যায়ে অতীতের তুলনায় সর্বোচ্চ সংখ্যক পদোন্নতি প্রদান, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, গৃহঋণ কর্তনহার সহনীয় পর্যায়ে আনা, আহার ভাতা ও ক্লোজিং ভাতা বৃদ্ধির মতো নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রণয়ন। বিশেষ করে, ব্যাংকের অর্গানোগ্রাম সংশোধনের মাধ্যমে নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের কাজ তার নেতৃত্বেই সম্পন্ন হয়।
বৈষম্যবিরোধী অফিসার্স ফোরামের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ব্যাংকের প্রায় ৫২ শতাংশ কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত এই সংগঠন ডিজিএম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বকে সমর্থন জানিয়ে তার পাশে রয়েছে।
শুধু প্রশাসনিক কাজেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার অংশগ্রহণ রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ব্রিজ দলের সদস্য হিসেবে বিশ্ব ব্রিজ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিনিধিত্ব করছেন। আগামী আগস্টে ডেনমার্কে অনুষ্ঠেয় ফাইনাল রাউন্ডে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে।
তবে, তার এসব কর্মকাণ্ডের বিপরীতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল নানা অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে চলেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ‘জিয়া পরিষদ’ নামের একটি বিতর্কিত পকেট কমিটি অনুমোদনের ঘটনা ঘিরে জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরে বাতিল করা হয়।
জাতীয়তাবাদী দর্শন ও কর্মীবান্ধব নীতির পক্ষে তার অবিচল অবস্থান এবং বিকেবির সার্বিক উন্নয়নে তার অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে আস্থার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছে, শিগগিরই একটি গ্রহণযোগ্য ও ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই ধারা আরও সুসংহত হবে।