অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কথার ফুলঝুড়ি না দিয়ে আগামীর বাজেট করেছি জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব। এ দুটিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সীমিত সম্পদ ও অনেক চাহিদার মধ্যে এবারের বাজেট এনেছি। আমরা পুরো ব্যবসাবান্ধব করিনি, জনগণের সম্পৃক্ততাকে যুক্ত করেছি। আমরা জনগণের প্রতি কমিটেড। আমরা সবার নিরাপত্তা ও সামাজিক উন্নয়নে জোর দিতে চাই। এ কারণে আমরা সামাজিক খাতে বরাদ্দ বেশি রেখেছি।
গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্যে করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আপনারা (গণমাধ্যম) সিমপ্যাথি নিয়ে কাজ করবেন, এ দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। আমরা একটা ফ্রুট প্রিন্ট রেখে যেতে চাই পরবর্তীতে যারা আসবে তারা যেনো তা অনুসরণ করেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাইজুল কবির, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদসহ অনেকে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি। দায়িত্বটা একটা কঠিন সময়ে নিয়েছি। দেশের এখন ক্রান্তিলগ্ন, অনেকেই বলেছেন দেশ আইসিইউতে ছিল, খাদের কিনারে চলে আসছিল। বিশেষ করে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়। সে সময় যদি আমরা দায়িত্ব না নিতাম তাহলে কি হতো। যে সংস্কারগুলো আমরা হাতে নিয়েছি সেটা চলমান। আমরা যতটুকু পারি করবো। পরে আমরা যে পদচিহ্ন রেখে যাবো (ফুটপ্রিন্ট) আশা করছি পরবর্তীতে যারা আসবে তারা সেটা বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বলেন, বাইরের সবাই আমাদের সাপোর্ট করে। প্রতিটি দেশ ও সংস্থা আমাদের প্রতি খুবই ইতিবাচক। এতোদিন তো আপনারা প্রবৃদ্ধির ন্যারেটিভ শুনেছেন। গ্রোথ হয়েছে অনেক বেশি কিন্তু সেটার সুবিধা কে পেয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আমরা মানুষের জীবন মান উন্নয়ন হয়, ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে চালিয়ে যেতে পারে সে সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাজেট সাজিয়েছি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সংসদ না থাকায় আমরা সোমবার (২ জুন) জাতির সামনে বাজেট পেশ করেছি। অর্থ বিলে রাষ্ট্রপতি সই করেছেন। সেটা দ্রুতই হবে। সেখানে যদি কিছু থাকে সেটাও আমরা চেষ্টা করবো নিতে। বাজেটের পরিপ্রেক্ষিত আপনারা জানেন যে, আমাদের সম্পদ সীমিত, চাহিদা অনেক বেশি। বাইরে থেকে সম্পদ আনা, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, পুঁজিবাদের অবস্থা, ব্যাংকের অবস্থা, আইন শৃঙ্খলা অবস্থা সব মিলিয়ে একটা বিশৃঙ্খলা। এর ভেতরেই আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ ছিল যেমন, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকিং খাত, জ্বালানি খাত, রাজস্ব আদায় এসব কিছুর মধ্যেই বাজেট করতে হয়েছে। তারপরও আমাদের প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার বাড়েনি।