ইসরায়েলি কারাগারে ৫৯ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

Date:

- Advertisement -

ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে অন্তত ৫৯ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর এই ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি কারাগারে প্রাণ হারিয়েছেন। এদের বেশিরভাগই অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি কারাগারে কমপক্ষে ৫৯ ফিলিস্তিনি বন্দি মারা গেছেন বলে বন্দিদের অধিকার বিষয়ক একটি গ্রুপ জানিয়েছে।

প্যালেস্টানিয়ান প্রিজন সোসাইটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে গাজা উপত্যকার ৩৮ জন বন্দি রয়েছেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাজার বন্দিদের মৃত্যুর তথ্য গোপন করার অভিযোগও তুলেছে সংস্থাটি।

এর আগে, সোমবার গাজার বন্দি বিষয়ক কমিশন জানিয়েছে, গাজার বন্দি মুসাব হানি হানিয়াহ ইসরায়েলি হেফাজতে মারা গেছেন। ৩৫ বছর বয়সী হানিয়াহকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস থেকে ২০২৪ সালের ৩ মার্চ আটক করেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তার পরিবারের মতে, আটক হওয়ার আগে হানিয়াহ সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন।

পরিসংখ্যান অনুসারে, ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর এবং গাজা দখলের পর থেকে ইসরায়েলি কারাগারে কমপক্ষে ২৯৬ ফিলিস্তিনি বন্দি মারা গেছেন। অন্তত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি এখনও ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এই পরিসংখ্যানে গাজা উপত্যকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ৩৫০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক মানুষ।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে।

- Advertisement -

Subscribe

সর্বাধিক পঠিত

আরও
Related

আন্দোলনরত শিক্ষকরা এখন শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন, আশা শিক্ষা উপদেষ্টার

বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০...

গাজায় ফের ইসরাইলের বিমান হামলা শুরু

গাজা উপত্যকায় আবারও বিমান হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরাইল।...

আইন অনুযায়ী শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয়: ইসি আনোয়ারুল

সাংবিধানিক আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রতীকের তালিকায় শাপলা না...

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে গণফোরাম। এ নিয়ে মোট ২৫টি...