পিটার বাটলারের সঙ্গে নারী ফুটবলারদের দ্বন্দ্বের ঘটনায় উত্তাল দেশের ফুটবল। এই ব্রিটিশ কোচের অধীনে ফুটবল খেলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন জাতীয় দলের ১৮ জন ফুটবলার। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল অনুরোধ করলেও অনুশীলনে যোগ দেননি সাবিনারা। কিন্তু সাবিনাদের হাতে বেশি সময় নেই বলে জানিয়েছেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান।
বিদ্রোহী ফুটবলারদের ছাড়াই ৩৬ জন ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এরপর থেকেই বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কোচের অবাধ্য শিষ্যদের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাফুফে।
তবে তার আগে আরও একটি সুযোগ দিতে চাই বাফুফে। বিদ্রোহী নারী ফুটবলারদের জন্য এখনও দরজা খোলা। তবে তাদের জন্য লম্বা সময় অপেক্ষা করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান।
বাফুফের সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, আমাদের সভাপতি কিন্তু বলেছেন, যারা অনুশীলনে আসবেন তাদের জন্য দরজা উন্মুক্ত আছে। তারা অনুশীলনে যোগ দিলে কিন্তু চুক্তি নবায়ন করা হবে। এখানে আর কোনো অস্পষ্টতা আছে বলে আমি মনে করি না। এখানে সিনিয়র-জুনিয়র বলতে কিছু নেই, আমরা চাই ১৮ জনই ফিরে আসুক।
‘কারণ, তারা কিন্তু আমাদের দেশকে অনেক সম্মান এনে দিয়েছে। আমরা তাদেরকে অসময়ে হারাতে চাই না। তারপরও একটা কথা বলতে হয়, ডিসিপ্লিন সবকিছুর উর্ধ্বে।’
তিনি বলেন, কোনো শূন্যতা কিন্তু অপূর্ণ থাকে না। শূন্যতা কিন্তু পূর্ণ হয়ে যায়। বর্তমানকে কিছুটা ছাড় দিয়েও হলেও ভালোর ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় আছি। সম্মান দেখিয়ে তাদের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু এই অপেক্ষা কিন্তু অনন্তকাল হবে না। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা থাকবে। যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে আমরা নতুন ভাবনা-চিন্তা করব।
এদিকে বাংলাদেশের জন্য পিটার বাটলারের মতো হাইপ্রোফাইল কোচের পক্ষেই কথা বলছেন অনেকে। ভবিষ্যতে দলে নেতিবাচক প্রভাব পড়লে দায় এড়াতে পারবেন না বিদ্রোহী ফুটবলাররা। এমনটাই মনে করেছেন সাবেক সাফজয়ী দলের সদস্য ও কোচ আলফাজ আহমেদ।
তিনি বলেন, ভবিষ্যত দল গড়তে চাইলে, বাটলারের মতো কোচই দরকার বাংলাদেশে। নিজের চেয়ে দেশের স্বার্থটা দেখা বড় ব্যাপার। বাংলাদেশের নারী ফুটবলে যদি ভবিষ্যতে খারাপ ফলাফল হয়, তার দায় কিন্তু তাদেরই (বিদ্রোহীদের) থাকবে।
সাবিনাসহ ১৮ ফুটবলার অনুশীলনে না ফিরলে নতুন স্কোয়াড নিয়েই সংযুক্ত আরব আমিরারের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে লাল সবুজ প্রতিনিধিরা।